আগস্ট 21 – আমাদের জাতিতে প্রবেশ করুক!

“তখন কালেব মোশির সাক্ষাৎে লোকদেরকে উত্সাহ করার জন্য বললেন, “এস, আমরা একেবারে উঠে গিয়ে দেশ অধিকার করি; কারণ আমরা সেটা জয় করতে সমর্থ।”(গননাপুস্তক ১৩:৩০)।

সংখ্যা বইতে, আমরা ১৩ তম অধ্যায়ে পড়েছি, মূসা বারো জনকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পাঠিয়েছিলেন। তারা যে খবর নিয়ে এসেছে তা আজকের আধ্যাত্মিক জগতে আমরা যা পাই তার অনুরূপ। প্রেরিত বারোজনের মধ্যে দশজন একটি নেতিবাচক বার্তা নিয়ে ফিরে এসেছিল যে প্রতিশ্রুত কেনান ভূমির উত্তরাধিকারী হওয়া কঠিন হবে। আজও, এই আধ্যাত্মিক জগতে, অনেকে বলে যে জাতির মধ্যে পুনরুজ্জীবন আনা সম্ভব নয় এবং তারা আরও বলে যে গীর্জাগুলি মুক্তি দিতে পারে না। এভাবে তারা বিশ্বাসের অভাবে হোঁচট খাচ্ছে।

একই সময়ে, কালেব এবং যিহোশূয় অন্যদের সম্পর্কে শাস্ত্রে পড়ুন। তারাই ঈশ্বরের আত্মার অধিকারী। যারা ঈশ্বরের শক্তির উপর নির্ভর করে তাদের জন্য কিছুই অসম্ভব নয়। ওরা কি বলল জানো?”তখন কালেব মোশির সাক্ষাৎে লোকদেরকে উত্সাহ করার জন্য বললেন, “এস, আমরা একেবারে উঠে গিয়ে দেশ অধিকার করি; কারণ আমরা সেটা জয় করতে সমর্থ।” (গননাপুস্তক ১৩:৩০)।

আজ ঈশ্বর আপনাকে ভারতে দাঁড় করিয়েছেন। তোমার বিশ্বাস কেমন? এটা কি ‘সম্ভাব্য নাকি নিছক’ অসম্ভব ‘বলে? আপনি কি সেই দশ জনের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন যারা নেতিবাচক খবর নিয়ে এসেছেন অথবা কালেব এবং যিহোশূয়ের সাথে?

যখন ঈশ্বর পবিত্র আত্মার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি কেবল জেরুজালেম এবং জুডিয়ার জন্য একই প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি বললেন, “কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে এলে তোমরা শক্তি পাবে; এবং তোমরা যিরূশালেম, সমস্ত যিহূদীয়া, শমরিয়া দেশে এবং পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত আমার সাক্ষী হবে।”(প্রেরিত ১:৮)। যখন আয়াতটি বলে “পৃথিবীর শেষ” এতে ভারতও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তা না হয়? যীশু খ্রীষ্টের সাথে শহর ও গ্রামে হাঁটুন। পুরো শক্তি দিয়ে সুসমাচার প্রচার করুন। যীশু আপনার মাধ্যমে জাতির সাথে দেখা করতে চান।

প্রেরিত পল বলেন, “….আমরা আশাকরি যে তোমরা ঈশ্বরকে বেশি বিশ্বাস করবে এবং এই ভাবে ঈশ্বর আমাদের কাজ করার জন্য আরো বড় জায়গা ভাগ করে দেবেন।  আমরা এই আশাকরি, তোমরা যেখানে বাস কর তার থেকে দূরের লোকেদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিতে পারব, আমরা আমাদের নিজেদের কাজের প্রশংসা করব না যেমন ঈশ্বরের অন্য দাসেরা করে, তাদের নিজের জায়গার মধ্যে তারা তাঁর প্রচার করে। (দ্বিতীয় করিন্থীয় ১০:১৫,১৬)

পঈশ্বরের  প্ৰিয় সন্তান, আমাদের দেশ কতদিন অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে পারে? কতদিন আমাদের মানুষ অন্ধকারের দাসে থাকতে পারে এবং কষ্ট পেতে পারে? যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মেষপালক এবং মুক্তিদাতা তা না জেনে আমাদের লোকেরা কতদিন থাকতে পারে? আমাদের কি আত্মাকে উদ্ধার করা উচিত নয়? ঈশ্বরের জন্য জাতির উত্তরাধিকারী হওয়া কি আপনার জন্য প্রয়োজনীয়তা নয়?

ধ্যান করার জন্য: “যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁর মাধ্যমে আমি সবই করতে পারি।”(ফিলিপীয় ৪:১৩)।